টাঙ্গুয়ার হাওর। বাংলাদেশর ২য় বৃহত্তমমিঠা পানির জলাভূমি। - সাইফ টেকটিউন্স ব্লগ

আপনার শিশুকে স্কুলে পাঠান

Breaking Tips

Monday, February 2, 2015

টাঙ্গুয়ার হাওর। বাংলাদেশর ২য় বৃহত্তমমিঠা পানির জলাভূমি।

সিলেটের সুনামগঞ্জে অবস্থিত
টাঙ্গুয়ার হাওর।হলাদেশর ২য় বৃহত্তম
মিঠা পানির জলাভূমি। আয়তনে প্রায়
১০০ বর্গকিলোমিটার ।
সুনামগঞ্জ
জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর
উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের ঠিক
নিচে অবস্থিত এই হাওর। মেঘালয়
পাহাড়
থেকে ৩০টি ঝরনা এসে মিশেছে এই
হাওরে। এ যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের
এক ওপার লীলাভূমি। স্বচ্ছ
টলমলে জলের নিচে দেখা যায় ঘাস।
টাঙ্গুয়ার হাওরের অন্যতম আকর্ষণ
হলো বিভিন্ন জাতের পাখি। এই
হাওরে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫১
প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। এই
তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে বিরল
প্রজাতির প্যালাসেস ঈগলও। এছাড়াও
শকুন, পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম,
ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, বক, সারস
ইত্যাদি পাখির নিয়মিত
দেখা মিলে এই হাওরে।
এই হাওরে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ
পাওয়া যায়। যার
মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত মহাশোল মাছও।
এছাড়াও টাঙ্গুয়ার
হাওরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের জলজ
উদ্ভিদ। যেমন হিজল, করচ, বরুণ, পানিফল,
হেলেঞ্চা, বনতুলশী, নলখাগড়া,
বল্লুয়া, চাল্লিয়া ইত্যাদি।
অনেক ব্যস্ততার মাঝে একটু অবকাশ
পেলেই ঘুরে আসতে পারেন এই
টাঙ্গুয়ার হাওরে।
কাটিয়ে দিতে পারেন
একটি চাঁদনী রাত। জ্যোৎস্নার আলোয়
নৌকা থেকে এ হাওর দেখার
অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আপনার
জীবনে একটি স্মরণীয় রাত
হয়ে থাকবে।
ঢাকা থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা :
ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ শ্যামলী,
ইউনিক ও এনা পরিবহণ
যাত্রী সেবা দিয়ে থাকে।
টিকেটের মূল্য ৫০০ টাকা। সুনামগঞ্জ
বাসস্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার
ঘাট পর্যন্ত রিকশায় যাবেন।
সাহেববাজার ঘাট
থেকে টাঙ্গুয়া হাওরের
উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনচালিত
নৌকা ভাড়ার ব্যবস্থা আছে।
দিনপ্রতি ভাড়া ৩০০০ টাকা।
হাওরে পৌছাতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা সময়
লাগবে। একদিনের বেশি সময়ের জন্য
নৌকা ভাড়া করলে প্রয়োজনীয়
বাজার করে নিবেন। এছাড়াও
স্পীডবোট এ আপনি সাহেববাজার
থেকে টাঙ্গুয়া যেতে পারেন।
ভাড়া নিবে ৭৫০০ – ৮০০০ টাকা।
তাহিরপুরে রাতে থেকে পরদিন
ট্যাকেরহাট, বারিক্কাটিলাসহ
জাদুকাটা নদী ঘুরে সুনামগঞ্জ
চলে আসতে পারেন। সুনামগঞ্জ
থেকে ঢাকা প্রতিদিন দুপুর আড়াইটায়,
এরপর রাত ১০ টায়
অরেকটা গাড়ি ছাড়ে।
থাকার ব্যবস্থা :
বেসরকারি ভাবে টাঙ্গুয়ার
হাওরে রাতে থাকার মতো কোনও
হোটেল নেই।
তবে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৩
কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে টেকেরঘাট
চুনাপাথর খনি প্রকল্পের রেস্ট
হাউজে থাকা যায়। হাওর
ঘুরে রাতে তাহিরপুর থানার
ডাকবাংলোতে থাকতে পারেন।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages